১৬ জুল, ২০১৬

Heir loss cure naturally | চুল পরা বন্ধ করার উপায়

আমলকি:
   চুল পরা বন্ধ করতে এবং চুলের যত্নে আমলকি প্রাচিন কাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

আধা কাপ আমলকির গুড়ার সাথে দুই চামচ পরিমাণ অলিভ অয়েল বা কাস্টার্ড অয়েল এবং একটি সম্পূর্ণ ডিম সহ এক সাথে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে
    চুল এবং চুলের গোড়ায় মাখিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর মাথায় শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে
ডিম:১টি সম্পূর্ণ ডিম চুলে ব্যবহার করতে পারেন।অথবা ডিমের সুধু মাত্র সাদা অংস চুলে ব্যবহার করা যায়।
ডিমে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা চুলের গোড়ায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।২০ মিনিট পর চুল ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্তচুল ঘন,কাল হয়

অলিভ অয়েল: দু্‌ই থেকে তিন চামচ পরিমান জলপাইয়ের তেলের সাথে সামান্য পরিমান মধু ভাল করে মেশাতে হবে।তার পর চুলের আগায় এবং মাঝে ব্যবহার করতে হবে।দুই ঘন্টা পর চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।তবে মনে রাখবেন মধুর মিশ্রন কখনও মাথার তালুতে বা চুলের গোড়ায় মাখবেন না
অলিভ অয়েল বা জলপাইয়ের তেল ডায়াবেটিস রোগের প্রতিষেধক রুপে ব্যবহৃত হয়।
নিমের পাতা :নিমের পাতা বেটে চুলে ব্যবহার করুনএতে মাথার চামড়ার খুশকি, খোশ-পা্ঁচড়াজীবানু সংক্রমণ হবে না।আধা ঘন্টা পর মাথা ভালকরে ধুয়ে ফেলুন।                                                                                

লাউ: কিছু পরিমান লাউ এর রস বের করে তার সাথে অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন।
আবার শুধু মাত্র লাউয়ের রস মাথায় মেখে আধা ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলতে হবে।বাজারে অনেক লাউয়ের রস মিশ্রিত তেল রয়েছে যা  কদুর তেল নামে পরিচিত
পুষ্টিকর খাবার:প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন এবং কাচা ফলমূলশাকসবজি খেতে হবে।আপনার চুলের জন্য সবচেয়ে ভাল প্রতিষেধক হল পুষ্টিকর খাবার।আপনি যে রকম খাবার খাবেন, আপনার চুলও সেরকম পুষ্টি গ্রহণ করবে

৮ জুল, ২০১৬

Back pain treatment naturally | পিঠের ব্যথা ভাল করার উপায় জানুন

সারা বিশ্বে প্রতি ১০ জনের মধ্যেজন মেরুদন্ড বা পিঠের ব্যথায় আক্রান্ত হয়।এটি একটি জটিলপীড়াদায়ক সমস্যা।সময় মত প্রতিকারের ব্যবস্থা না করলে ধীরে ধীরেসমস্যা আরো জটিল আকার ধারণ করে।এমনকি পক্ষাঘাত পর্যন্ত হতে পারে।মেরুদন্ড অকেজো হয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে
কি ভাবে পিঠের ব্যথা দূর করবেনঃ

      গরম থেরাপী: পিঠে গরম ছ্যাক দিলে ব্যথা প্রশমিত হয়।উত্তাপ রক্তকে উত্তেজিত করে এবং রক্তের গতি বৃদ্ধি করে।ফলে আক্রান্ত স্থানে প্রতিষেধক পুষ্টি উপাদান সঞ্জারিত হয় এবং দূষিত রক্তস্থান ত্যাগ করে

      ঠান্ডা থেরাপী: পিঠে বরফের বা ঠান্ডা পানির সংস্পর্শ্ ব্যথা প্রশমিত করে
      ব্যায়াম: প্রতিদিন কমপক্ষে আধাঘন্টা হাটুন।সম্ভব হলে মৃদু দৌড়ান।এতে করে আপনার মেরুদন্ডের রক্তচলাচল বৃদ্ধি পাবে এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অনুপ্রবেশ ঘটবে।তাছাড়া স্পাইনাল কর্ড সংশ্লিষ্ট পেশি সমূহের নড়াচড়া বৃদ্ধি পাবে যা ব্যথা প্রশমনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
      হলুদ: হলুদ আর্থ্রাইটিস জনিত ব্যথাহৃদশূল(Heart burn)এবং ইনফ্লেমেশন জনিত ব্যথা প্রশমিত করে।হলুদে রয়েছে কারকুমিন নামক উপাদান যার রয়েছে এন্টি-ইনফ্লামেটরি গুনাগুণ।তবে যাদের গলব্লাডার রয়েছে তাদের হলুদ ব্যবহার করা উচিত নয়।হলুদ দীর্ঘ দিন ব্যবহার করা ঠিক নয়। বিস্তারিত জানতে ভিডিও টি দেখুনঃ 

কি ভাবে মুখের ব্রন দূর করবেন?

ব্রন কেন হয় ?

মানব দেহের কিছু অংশ অনাবৃত্তসূর্যের সরাসরি আলোর সংস্পর্শে আসে যেমন- মুখমন্ডল, গলা, ঘাড়, হাতসূর্যের সংস্পর্শেপ্রভাবেসব অংগে বাদামি রং এর কিছু বর্ধিত কোষ জন্মাতে দেখা যায় যা  মেলোনোসাইড নামে পরিচিত

    আবার দুশ্চিন্তা, ভিটামিনের অভাব, মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক ,গর্ভ ধারণ, লিভারের দুবর্ল ক্রিয়া জনিত কারণে মুখ মন্ডলে ব্রোন হতে দেখা যায়তবে বংশগত কারণেও ব্রন হতে পারে
 
কি ব্যবহার করলে ব্রন ভাল হয় ?
লেবুঃলেবুর রসে রয়েছে ত্বক ফর্সাকারী উপাদান (bleaching properties) যা ত্বকের বাদামিলালচে দাগ দূর করেত্বকে আনে লাবণ্য।ত্বকের ময়লা তুলতে সহায়তা করেত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেপ্রতিদিন দুইবার লেবুর রস ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।লেবুর রসের সাথে চিনি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করে ব্যবহার করা যায়
আপেলের রস হতে তৈরি ভিনেগার:
আপেলের রস হতে তৈরি ভিনেগার দ্রুত ব্রোন শুকিয়ে ফেলতেমিশে যেতে সাহায্য করেসমপরিমান ভিনেগারপানিতার সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুণ।দ্রুত ব্রণ ভাল হয়ে যাবেঅথবা সামান্য ভিনেগারের সাথে কমলার রস মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন
ব্রোন দুর করার আরো মজার সব তথ্য জানতে ভিডিও টি দেখুন- 
 

Ginger as natural remedies|জটিল রোগের চিকিৎসায় আদা

আদা এমন একটি ভেষজ গুন সম্পন্ন উদ্ধিদ যা অনেক জটিল রোগ ভাল করে। প্রাচিন কাল থেকই আদা বিভিন্ন জটিল রোগে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চায়ের সাথে কিংবা শুকনো আদা চিবিয়ে খেতে পারেন।পেটের গ্যাস প্রশমনে আদা অত্যন্ত কার্যকর উদ্ভিদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।আদা ছাড়া তরকারি সুস্বাধু হয় না।চলুন দেখি আদার কি কি গুনাবলী রয়েছে-

Øপাকস্থলীর আলসার প্রতিরোধ করে।

Øবমি ও বমিভাব দূর করে।

Øদেহের উষ্ণতা বাড়ায় ও ঠান্ডা জনিত রোগ প্রতিরোধ করে।

Øডায়রিয়া রোগ সৃষ্টিকারী স্যালমোনেলা ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিহত করে।

Øআদা হৃদ রোগের ঝুকি কমায়।

Øরক্তের সুগার লেভেল কমায় এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।

Øপাকস্থলীর আলসার বা ক্ষত ভাল করে। গ্যাসট্রিক নিরাময় করে।

Øপুরাতন উদারাময় ভাল করে।

Øমাসিক বা ঋতু জনিত পেটের ব্যথা ভাল করে।

Øরক্তের কোলেস্টরল দূর করে।

Øআদায় রয়েছে 6-gingerol নামক উপাদান যা ক্যানসার প্রতিরোধ করে
Øআদা Alzheimer’s রোগ আরোগ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
Øশ্বাস যন্ত্রে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে
Øবয়বৃদ্ধি জনিত মস্তিষ্কের রোগ ভাল করে
কিডনি রোগ প্রতিরোধ: আদায় রয়েছে সালফার সমৃদ্ধ allicin যা কিডনী রোগের দুইটি প্রধান কারণ ডায়াবেটিসউচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করেআদায় একাধারে রয়েছে এন্টি মাইক্রোবায়াল, এন্টি ভাইরাল, এন্টি ফাংগালএন্টি অক্সিডেন্টাল উপাদান যা দেহে রোগ প্রতিরোধ প্রাচীর গড়ে তোলে। ২০০১ সালে এক পরিক্ষায় প্রমানিত হয় যে আদা কিডনির অভ্যন্তরস্থ কোষের এন্টি অক্সিডেন্টাল অবস্থার উন্নতি ঘটায় যা কোষের ধ্বংস প্রতিরোধ করে

৭ জুল, ২০১৬

Gastric pain relief | গ্যাসট্রিক ভাল করার উপায়


        সালাত :প্রতিবার খাবারের পরে ছালাত খাওয়ার চেষ্টা করুণ।কারণ সালাতে রয়েছে হজমি কারক উপাদান।তাছাড়া সালাতে বিদ্যমান কার্বহাইড্রেড হজমের জন্য হাইডোক্লোরিক এসিডের প্রয়োজন হয় না।অধিকন্তু সালাতে রয়েছে আমিষ জাতীয় খাবার যেমন-মাছ, মাংস, ডিম,দুধ,পনির ইত্যাদি হজম কারক উপাদান

         আদা:গ্যাস নিরাময়ে আদা আশ্চর্য জনক ফলদায়ক।আদা এক কাপ গরম পানিতে ফুটিয়ে পানি সেবন করতে পারেন।খাবার পরে চুষে খেতে পারেন 
         খাবার সোডালেবু: গ্যাস থেকে মুক্তির কার্যকরী প্রতিষেধক খাবার সোডালেবুর মিশ্রণএকটি গ্লাসে ১-২ চামচ লেবুর রস নিয়ে তাতে দুই চামচ বেকিং বা খাবার সোডা যোগ করুন।কিছুক্ষণ পর গ্লাস ভর্তি পানি ঢেলে গোলাতে থাকুনভাল করে মিশ্রণ তৈরি হওয়ার পর পান করুণ
      খাবার সোডা ক্যানসার , ডায়াবেটিস , কিডনি রোগেও  প্রতিষেধক হিসেবে অত্যন্ত কার্যকরী
         হাইডোক্লোরিক এসিড: খাবার হজমের জন্য পাকস্থলীতে পর্যাপ্ত পরিমান হাইডোক্লোরিক এসিড প্রয়োজন হয়।তাই খাবার পরে হাইডোক্লোরিক সমৃদ্ধ ট্যাবলেট খেতে পারেন।তবে অবশ্যই কোন অবস্থায় খাওয়ার আগে খাবেন না 
         বিস্তারিত জানতে ভিডিওটি ভিজিট করুণ অথবা ক্লিক করুণ: পেটের গ্যাস ভাল করার উপায়