ডায়াবেটিস ভাল করার প্রাকৃতিক ঔষধ, আর নয় অর্থ খরচ।
করলাঃ
ডায়াবেটিস নিরাময়ের ক্ষেত্রে করলা অবিশ্বাস্য ভূমিকা পালন করে ।করলার মধে রয়েছে হাইকোগ্লিকমিক ইনসুলিন যা প্লান্ট ইনসুলিন নামে পরিচিত ।যা কিনা রক্তের ও মূত্রের চিনি বা গ্লুকোজ হ্রাস করে।সকাল বেলা এক গ্লাস করলার রস পান করলে দ্রুত সুফল পাওয়া যাবে ।একজন ডায়াবেটিস রুগীর প্রতিদিনের আহার তালিকায় করলা রাখা ভাল।এটি সহজলভ্য এবং সুস্বাদু।
মেথী: ডায়াবেটিস
নিরাময়ের ক্ষেত্রে মেথী অন্যতম প্রধান প্রাকৃতিক উদ্ভিদ। যা কিনা রক্তের ও মূত্রের চিনি বা গ্লুকোজ হ্রাস করে ।টেবিল চামচের এক-চতুর্থাংশ মেথীর বীজ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।তার পর সকাল বেলা খালি পেটে মিশ্রন সেবন করতে হবে।নিয়মিত সেবন করলে ডায়াবেটিস কমতে থাকবে।
গ্রিক ক্লোভার: ডায়বেটিস রোগের সবচেয়ে কার্যকরি প্রতিষেধক।গ্রীক ক্লোভার ডায়াবেটিকস আক্রান্ত রোগীর রক্তের ক্ষতিকর Hyperglycemia ধ্বংস করে। তাছাড়াও Serum Cholesterol এবং Triglycerides এর পরিমান হ্রাস করে। প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে দুই চামচ বীজ পাউডার করে এক কাপ গরম দুধে মিশিয়ে পান করতে হবে।
আমলকি:আমলকি ভিটামিন সি এর অন্যতম প্রধান উৎস্য।ভিটামিন সি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সক্ষম।করল্লার রস ও আমলকির রস মিশিয়ে একধরনের টনিক তৈরি করা যায় যা ইনসুলিন উৎপাদন বা নিসরণ কারী অগ্নাসয়ের আইলেটস ল্যাংগারহাম এর বিটা সেলকে উত্তেজিত করে।ফলে ইনসুলিনের উৎপাদনের পরিমান বৃদ্ধি পায়।এক কাপ করলার রসের সাথে এক টেবিল চামচ আমলকির রস মিশ্রন করে প্রতিদিন সেবন করলে দ্রুত ডায়াবেটিস আরোগ্য হয়।
নিম পাতা: নিম পাতায় এমন কিছু মিশ্র উপাদান রয়েছে যা রক্তের গ্লুকোজ কমাতে সাহায্য করে। এক গ্লাস নিমের রস প্রত্যহ সকালে সেবন করলে ডায়াবেটিস সম্পূণ রুপে আরোগ্য হওয়া সম্ভব।নিয়মিত ও বহুদিন ধরে সেবনের ফলে ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।নিম পাতায় বহু রোগের আরোগ্য ক্ষমতা রয়েছে।
আমপাতাঃআম পাতায় রক্তের গ্লুকোজ কমানোর গুণাবলি রয়েছে। ৩০গ্রাম আমের পাতা আধা কেজি পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে্ সারা রাত ।পাতাগুলোকে মিশ্রণ তৈরি করার জন্য কচলাতে হবে ।সকাল বেলা আমপাতার রস খালিপেটে খেতে হবে ।আবার পাউডার করে দিনে দুবার খা্ওয়া যায় ।এটা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করার একটি উত্তম পদ্ধতি ।
জাম: জাম অত্যন্ত সুস্বাদু ও উপকারী ফল।জামবল এ রয়েছে জামবোলিন নামে গ্লুকোসাইড উপাদান যা স্টাচ থেকে সুগার উৎপাদনে বাধা প্রদান করে।ফলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রনে থাকে বা বৃদ্ধি পায় না।জামের বীজ মাংশল অংশ ভেষজ গুন সম্পন্ন।
লেবু জাতীয় ফল: লেবু জাতীয় ফল যেমন: কাগজী লেবু, বাতাবী লেবু, কমলা ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি।এসব ফলের জুস, বীজ, খোসা ও ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সক্ষম।নিয়মিত খেলে ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
এসপারাগাস: এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি’ ও ‘সি’ রয়েছে যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সক্ষম।এসপারাগাস
এসপারাগাস: এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি’ ও ‘সি’ রয়েছে যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সক্ষম।এসপারাগাস
অত্যন্ত সুস্বাধু ও খাদ্যগুন সম্পন্ন।এটি প্রতিদিন আহার করলে ডায়াবেটিস ভাল হয়।
ফুলকপি: ফুলকপিতে আছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন ‘সি’ ও ভিটামিন ‘এ’ যা রক্তের সুগার লেভেলকে হ্রাস করে। ফুলকপি অত্যন্ত সুস্বাদু সবজী এবং সহজ লভ্য।এটি আমাদের দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়।
কারিপাতা: এটি প্রতিদিনের আহার তালিকায় খাদ্য হিসেবে অথবা পাতার পাউডার ১৫ দিন খেলে ভাল ফল পাওয়া যায় । কারিপাতা রক্তের গ্লুকোজ কমায়। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কারিপাতা বা রাধুনী পাতা অত্যন্ত কার্যকর বলে প্রমানিত।
বরবটি:
মাছ:
মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা ডায়াবেটিস নিরাময় করে।তাই পুচুর
পরিমানে ছোট মাছ আহারে দেহের পুষ্টি বৃদ্ধি করবে ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন