সন্তান গর্ভ ধারনের উপযুক্ত সময় হল নিষেক ক্রিয়া কাল।সাধারনত ঋতু স্রাব বা মাসিকের ১৪ দিন পূর্বে নিষেক ক্রিয়া (ovulation) হয়ে থাকে। সবচেয়ে ভাল হয় calendar method এর মাধ্যমে গর্ভধারনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টির হিসাব রাখা।
নিষেক ক্রিয়া কালের ৬-৩ দিন পূর্বে স্ত্রী সহবাস করলে গর্ভ ধারনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই সময়টি কে fertile window বলে।আজ কাল অনেক চিকিৎসক গর্ভ ধারনের সঠিক সময় নির্ধারনের জন্য ovulation predictor kits (OPKs) ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
সন্তান গর্ভে ধারনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে নিষেকক্রিয়া কালে উল্লেখিত ৬ দিনে প্রতিদিন স্ত্রী-সহবাস করতে হবে।ঘন ঘন সহবাসের ফলে নতুন ও শক্তিশালী শুক্রানু বা ডিম্বানু তৈরি হয় যা সন্তান গ্রহনে সহায়ক।
নিষেক ক্রিয়া কালের ৬-৩ দিন পূর্বে স্ত্রী সহবাস করলে গর্ভ ধারনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই সময়টি কে fertile window বলে।আজ কাল অনেক চিকিৎসক গর্ভ ধারনের সঠিক সময় নির্ধারনের জন্য ovulation predictor kits (OPKs) ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
সন্তান গর্ভে ধারনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে নিষেকক্রিয়া কালে উল্লেখিত ৬ দিনে প্রতিদিন স্ত্রী-সহবাস করতে হবে।ঘন ঘন সহবাসের ফলে নতুন ও শক্তিশালী শুক্রানু বা ডিম্বানু তৈরি হয় যা সন্তান গ্রহনে সহায়ক।
Pregnancy image |
- গর্ভ ধারনের পূর্বে সব ধরনের জন্মনিরোধক পিল খাওয়া বন্ধ করুন।পিল বন্ধ করার পরে গর্ভ ধারন করতে আরো কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।
- সন্তান গর্ভেধারনের আগে ওজন নিয়ন্ত্রন করতে হবে। স্থুলতা বা স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন থাকলে গর্ভধারন ঝুকি পূর্ণ হতে পারে। তাই সন্তান গর্ভধারনের জন্য স্বাস্থ্য সম্মত ওজন থাকা আবশ্যক।
- ধুমপান পুরুষের শুক্রানুর উৎপাদন হ্রাস করে এবং প্রজনন কোষের DNA নষ্ট বা ধ্বংস করে।ফলে সন্তান উৎপাদনে পুরুষের সক্ষমতা হ্রাস পায়। তবে নারী, পুরুষ উভয়ের প্রজনন ক্ষমতা ধুমপানের ফলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভপাতের অন্যতম প্রধান কারণ ধুমপান যা সরাসরী স্ত্রীর দ্বারা বা স্বামীর সাথে সহঅবস্থানের ফলে ক্ষতিকর নিকটিনের স্থানন্তরের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
- কিছু গবেষনায় বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেন যে প্যান্টের পকেটে মোবাইল রাখার ফলে রেডিয়েশনের ফলে পুরুষের স্পাম নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
-
কড লিভার অয়েল প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।তাই আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে প্রতিদিন পরিমান মত কড লিভার অয়েল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- American Society for Reproductive Medicine এর সভাপতি Dale McClure এর মতে অধিক সময় উষ্ণ স্থানে বসা বা গরম জল দিয়ে প্রতিদিন গোসল করলে পুরুষের র্স্পাম নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তিনি আরো বলেন, যারা বাবা হতে চায়, সেই সব পুরুষদের অধিক সময় ধরে উরুর উপর ল্যাপটপ রাখা উচিত নয়।এতে করে সন্তান প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- অত্যধিক কোল্ড ড্রিংস পান করলে এবং এলকোহল জাতীয় তরল পান করলে পুরুষের শুক্রানু ও মেয়েদের ডিম্বানু নষ্ট হয়ে যেতে পারে যা সন্তান ধারনের ক্ষমতা নষ্ট করে। গর্ভাবস্থায় এলকোহল সেবন সন্তানের জন্ম ত্রুটির জন্য দায়ী।
- মাত্রাতিরিক্ত কফি পান করবেন না। কফিতে রয়েছে caffeine যা অতিরিক্ত সেবনের ফলে সন্তান প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।Gibbons এর মতে, প্রতি দিন ২০০ থেকে ২৫০মিলিগ্রাম caffeine অর্থাৎ ১-২ কাপ কফি খেতে পারেন, এর বেশি খাওয়া ঠিক হবে না।
- আপনার সুক্রানু বা ডিম্বানুর স্থায়ীত্ব কাল ১২-২৪ ঘন্টা। মাসিকের সময় কাল ২৮ দিন হিসাব করে মাসিক সমাপ্ত হওয়ার পরবর্তী ১২-১৪ তম এই তিন দিন সন্তান গর্ভ ধারনের সঠিক সময়।
- সন্তান গর্ভে ধারণ কালে যে সব ঔষধ প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করে বা শ্রক্রানু ও ডিম্বানুর ক্ষতি সাধন করে, সেগুলো পরিহার করুন।
- ক্ষতিকর রাসায়নিক কেমিক্যাল যুক্ত খাবার খাবেন না। বর্তমানে বাজারে প্রাপ্ত অধিকাংশ ফল মূল ও অন্যান্য খাবার সামগ্রী কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো বা সংরক্ষন করা হয়। সে ক্ষেত্রে গাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ করুন। কেমিক্যাল মিশ্রিত খাবার আপনার গর্ভস্থ ভ্রুন নষ্ট করতে সক্ষম।
- কিছু পরিক্ষায় দেখা গেছে সকালে সুক্রান বা ডিম্বানুর সংখ্যা বেশি থাকে। তাই এই সময়কে মিলিত হবার জন্য নির্ধারন করতে পারেন।
- কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য পুষ্টি উপাদান যে গুলো প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি, ফোলেট( ফোলিক নয়), জিংক ও সেলেনিয়াম।
- গর্ভ ধারনের লক্ষন প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে বেবি চেক করুন। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খান।
- বেবি চেক করে যদি পজিটিভ রেজাল্ট না পান, ভেঙ্গে পড়বেন না।পরবর্তী মাসে আবার চেষ্টা করুণ। অনেক দম্পত্তিই প্রথম অবস্থায় ব্যর্থ হয়ে পরবর্তীতে সন্তন লাভে সক্ষম হয়েছে।
- পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করুন। এর ফলে আপনার দেহ সিক্ত থাকবে এবং ভ্রুন পর্যাপ্ত জলীয় পদার্থ পেয়ে দ্রুত বেড়ে উঠবে।
- পর্যাপ্ত পরিমানে আমিষ জাতিয় খাবার যেমন মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, বাদাম খেতে হবে।এগুলো গর্ভকালীন জটিলতা থেকে রক্ষা করবে।
- চর্বী জাতীয় খাবার যেমন নারকেল, নারকেলের তেল, জলপাই ও জলপাইয়ের তেল, মাখন, ঘি, বাদাম জাত খাবার খাবেন।
- প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমাতে হবে। গবেষনায় দেখা গেছে যে সব নারি ও পুরুষের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তারা সন্তান ধারনে অক্ষম হয়ে পড়ে।
- দুশ্চিন্তা, হতাশা ও চাপ মুক্ত থাকুন। সব সময় হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করুন।মনকে উৎফুল্ল রাখুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন