রসুনের অজানা ঔষধি গুণ: রন্ধন কাজে ব্যবহৃত এই অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সম্ববত সৃষ্টিকর্তা এর উপকারি গুন সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশেই মানুষের একেবারে হাতের নাগালে রসুনে অবস্থান নির্ধারণ করেছেন। রসুন একাধারে হৃদরোগ, মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণ(brain stroke), কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস, গ্যাসট্রিক, ক্যানসার ইত্যাদি বহু জটিল রোগের প্রতিষেধক হিসেবে দুর্দান্ত কাজ করে।
চুল পরা রোধ:
রসুনে রয়েছে সালফার সমৃদ্ধ allicin ও সেলেনিয়াম উপাদান যা চুল পরা বন্ধ করে।চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুল ঘন,
কাল করে। নারকেল তেলের সাথে রসুনের রস মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও রসুনে রয়েছে এন্টিবায়োটিক উপাদান যা মাথার চামড়ায় জীবানু সংক্রকণ প্রতিহত করে। উকুন ও অন্যান্য ক্ষতিকর জীবানু ধ্বংস করে।
ক্যানসার প্রতিরোধ:
রসুন ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয় ফুসফুস ক্যানসার, মুখের ক্যানসার, স্তন ক্যানসার, পাকস্থলীর ক্যানসার, ক্ষুদ্রান্ত্রের ক্যানসার ও কোলন ক্যানসার নিরাময়ের জন্য।
অ্যালঝেইমার ও মস্তিষ্ক বিকার রোগ:
রসুন মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষের নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।এতে রয়েছে এন্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান যা অ্যাল ঝেইমার ও মস্তিষ্ক বিকার রোগ প্রতিহত করে। তাই বার্ধক্য জনিত রোগে রসুনের ব্যপক ব্যবহার লক্ষ করা যায়।
ব্রন ভাল করে:রসুনের এন্টি-অক্সিডেন্টাল উপাদান মুখের ব্রন সৃষ্টি কারি
ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।ফলে ব্রনে ইনফেকশন হতে পারেনা।
রসুন ঠান্ডাজনিত রোগ সাড়ায়। এক পরিক্ষায় দেখা
গেছে রসুন ৬৩% ঠান্ডা সমস্যা দূর করে।যদি আপনার
ঠান্ডা লাগে এবং সর্দি, কাশিতে ভোগেন, তবে খাদ্য তালিকায় রসুন যুক্ত করুণ।
যৌন রোগের প্রতিষেধক : রসুনে
রয়েছে ৬% সেলেনিয়াম যা যৌন রোগের প্রতিষেধক রুপে
কাজ করে। সেলেনিয়াম নামে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় যৌন রোগ আরোগ্য কারি ঔষধ রয়েছে।
খোশ-পাচরা আরোগ্য: রসুনে রয়েছে ১৫% ভিটামিন সি যা ভিটামিন সি এর অভাব জনিত রোগ প্রতিরোধ করে।রসুনের এন্টিসেপ্টিক উপাদান খোশ-পাচরা, চুলকানি আরোগ্যে অত্যন্ত কার্যকর।রসুন দেহের বিষাক্ত ধাতব পদার্থ বের করে দেয়।
রয়েছে যা হাড়ের গঠনে সহায়তা করে ও হাড় ক্ষয়
প্রতিহত করে। মেয়েদের দেহের এস্ট্রজেন বৃদ্ধি করে যা হাড় ক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।রসুন অষ্ট্রো আর্থ্রাইটিস রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে।
উচ্চ রক্তচাপ,হৃদরোগ ও ব্রেন ষ্ট্রোক প্রতিরোধ: মানুষের অকাল মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হার্টএ্র্যাটাক বা হৃদরোগ যা উচ্চ রক্তচাপের কারণে হয়।রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমায়। উচ্চ রক্তচাপের কারণে ব্রেন ষ্ট্রোক হয়। তাই ষ্ট্রক জনিত মৃত্যু প্রতিহত করতে প্রতিদিন রসুন খাওয়া ভাল।
রসুন রক্তের কোলেস্টেরল হ্রাস করে যা হৃদরোগের ঝু্ঁকি কমায়।
রসুনের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকার:
Ø রসুন স্বাসকষ্টে ব্যবহৃত হয়। ফুসফুস প্রদাহে রসুনের ব্যপক ব্যবহার রয়েছে।
Ø যক্ষা রোগ নিরাময়ে রসুন ব্যবহৃত হয়।
Ø রসুন ডায়াবেটিস রোগের অন্যতম প্রধান ঔষধ।
Ø আমাশয় রোগ নিরাময়েও রসুন অত্যন্ত কার্যকর।
Ø ওজন নিয়ন্ত্রন করে।
Ø দেহের চর্বি কমায়।
Ø মশার কামড় প্রতিরোধ করে।
Ø পায়ের ইনফেকশন ভালো করে।
Ø রসুনের পানির স্প্রে গাছকে পোকামাকড়ের আক্রমন থেকে রক্ষাকরে।
রসুনের ঘ্রান মাছকে আকৃষ্ট করে।
কতটুকু খেতে হবে? কখন খেতে হবে? কতদিন খেতে হবে?কারা খেতে পারবে না? প্লিজ জানাবেন।
উত্তরমুছুন