১৬ আগ, ২০১৬

Nightfall or wet dreams causes & solution | ছেলেদের স্বপ্ন দোষের চিকিৎসা


Nightfall image
যৌন অক্ষমতার অন্যতম প্রধান কারণ ঘন ঘন স্বপ্ন দোষ।পুরুষের স্বপ্নদোষোর কারন ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকেতবে স্বপ্নদোষের প্রধান কারন যৌন উত্তেজক ভাবনাহস্ত মৈথুন।হরমোন জনিত কারনে এবং অতৃপ্ত যৌন আকাঙ্খার কারনেও স্বপ্নদোষ হওয়ার অন্যতম কারনঘন ঘন স্বপ্নদোষের চুড়ান্ত পরিনতি যৌন অক্ষমতাদ্রুত বীর্য স্খলন
Bottle Gourd image

১) লাউ বা কদুর রস: কদুর রস বা নির্জাস দেহ জনন তন্ত্রকে ঠান্ডা রাখে যা স্বপ্ন দোষ বন্ধ করেঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে আধা গ্লাস কদুর রস খেতে পারেনঅথবা কদুর রসের সাথে সৈরসার তেল মিশিয়ে মাথার তালুতে ব্যবহার করতে পারেন যা আপনার স্বপ্ন দোষ বন্ধ করতে সাহায্য করবে


Gooseberry image
২)আমলকি: স্বপ্ন দোষ বন্ধ করার অন্যতম উপকরন আমলকির রস যা প্রতিদিন ঘুমানোর আগে পান করতে পারেনআমলকি দেহের উত্তাপ প্রশমিত করেইমিউন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি করে।পানির সাথে এর পাউডার মিশিংয়ে সেবন করতে পারেন। আমলকি চুল পরা বন্ধ করে, চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
Onion image
Garlic image
 
৩) রসুনপিয়াজ: রসুনের বহুবিধ গুন সম্পর্কে আমরা অবহিত।কাঁচা রসুন স্বপ্ন দোষ বন্ধে অত্যন্ত কার্যকর।২-৩ কোয়া রসুন পিষে পানিতে মিশিয়ে সেবন করতে পারেনপিয়াজও স্বপ্ন দোষ বন্ধে অত্যন্ত কার্যকর।সালাতের সাথে পিয়াজ খেলে স্বপ্ন দোষ আরোগ্য হয়। রসুন যৌন রোগে চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হয়।

৪) গোসল: ঘুমাতে যাওয়ার আগে দেহে তেল মেখে গোসল করুন।এটি অত্যন্ত কার্যকর ব্যবস্থা।গোসল করার ফলে আপনার সাড়া দেহ ঠান্ডা হয়ে যাবে।আপনার শরীরের অতিরিক্ত তাপ প্রশমিত হবে।ফলে যৌনাঙ্গ গরম হয়ে উত্তেজিত হবে না
৫) বই পড়ুন: ঘুমানোর সময় বই নিয়ে পড়তে থাকুন।ধর্মীয়, জীবনী, প্রেম, সাহিত্য ইত্যাদি বিষয়ে বই পড়ুন।তবে অবশ্যই পর্নগ্রাফী বই পড়বেন না বা পর্নো ছবি দেখবেন না
৬) যৌন চিন্তা পরিহার করুন: স্বপ্ন দোষের অন্যতম প্রধান কারন কুরুচু পূর্ণ জীবন যাপনবদ অভ্যাস ত্যাগ করুনঅশ্লীল চিন্তা, অশ্লীল ছবিপর্নো মুভি দেখা বন্ধ করুনহস্ত মৈথুন করা থেকে বিরত থাকুন। 
৭.টাইট পোষাকঘুম : টাইট ফিট কাপড় বা পাজামা পড়বেন না, কারন এতে যৌনাঙ্গ উত্তেজিত হয়ে স্বপ্ন দোষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছেপাতলা সুতির কাপড় পড়ে ঘুমাতে যানউপুড় হয়ে ঘুমাবেন নাঅত্যধিক ঘুমালে স্বপ্ন দোষ হতে পারেসম্ভব হলে রাতে কয়েক বার জেগে উঠুন
৮) তুলসির রস: তুলসি পাতার রস পানিতে মিশিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘন্টা পূর্বে সেবন করুনএটি স্বপ্ন দোষের অব্যর্থ ঔষধ
রাতে মাংস, ডিমউচ্চ প্রটিন যুক্ত খাবার খাবেন না, কারন এগুলো শরীরে উত্তেজনা বৃদ্ধি করেঘুমানোর আগে পুরুষাঙ্গ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুনপ্রস্রাব করে ঘুমাতে যাবেন।ঘুমাতে যাওয়ার কম পক্ষে দুই ঘন্টা আগে রাতের খাবার খাবেননরম বিছানায় ঘুমাবেন না    

১২ আগ, ২০১৬

How to get pregnant faster | কি ভাবে বন্ধাত্ব দূর করবেন

সন্তান গর্ভ ধারনের উপযুক্ত সময় হল নিষেক ক্রিয়া কাল।সাধারনত ঋতু স্রাব বা মাসিকের ১৪ দিন পূর্বে নিষেক ক্রিয়া (ovulation) হয়ে থাকে। সবচেয়ে ভাল হয় calendar method এর মাধ্যমে গর্ভধারনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টির হিসাব রাখা।

নিষেক ক্রিয়া কালের ৬-৩ দিন পূর্বে স্ত্রী সহবাস করলে গর্ভ ধারনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই সময়টি কে fertile window বলে।আজ কাল অনেক চিকিৎসক গর্ভ ধারনের সঠিক সময় নির্ধারনের জন্য ovulation predictor kits (OPKs) ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
সন্তান গর্ভে ধারনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে নিষেকক্রিয়া কালে উল্লেখিতদিনে প্রতিদিন স্ত্রী-সহবাস করতে হবে।ঘন ঘন সহবাসের ফলে নতুনশক্তিশালী শুক্রানু বা ডিম্বানু তৈরি হয় যা সন্তান গ্রহনে সহায়ক।
Pregnancy image
  • গর্ভ ধারনের পূর্বে সব ধরনের জন্মনিরোধক পিল খাওয়া বন্ধ করুন।পিল বন্ধ করার পরে গর্ভ ধারন করতে আরো কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।
  • সন্তান গর্ভেধারনের আগে ওজন নিয়ন্ত্রন করতে হবে। স্থুলতা বা স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন থাকলে গর্ভধারন ঝুকি পূর্ণ হতে পারে। তাই সন্তান গর্ভধারনের জন্য স্বাস্থ্য সম্মত ওজন থাকা আবশ্যক।
  • ধুমপান পুরুষের শুক্রানুর উৎপাদন হ্রাস করে এবং প্রজনন কোষের DNA নষ্ট বা ধ্বংস করে।ফলে সন্তান উৎপাদনে পুরুষের সক্ষমতা হ্রাস পায়। তবে নারী, পুরুষ উভয়ের প্রজনন ক্ষমতা ধুমপানের ফলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভপাতের অন্যতম প্রধান কারণ ধুমপান যা সরাসরী স্ত্রীর দ্বারা বা স্বামীর সাথে সহঅবস্থানের ফলে ক্ষতিকর নিকটিনের স্থানন্তরের মাধ্যমে হয়ে থাকে।
  • কিছু গবেষনায় বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেন যে প্যান্টের পকেটে মোবাইল রাখার ফলে রেডিয়েশনের ফলে পুরুষের স্পাম নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • কড লিভার অয়েল প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
       তাই আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে প্রতিদিন পরিমান মত কড লিভার অয়েল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
    • American Society for Reproductive Medicine এর সভাপতি Dale McClure এর মতে অধিক সময় উষ্ণ স্থানে বসা বা গরম জল দিয়ে প্রতিদিন গোসল করলে পুরুষের র্স্পাম নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তিনি আরো বলেন, যারা বাবা হতে চায়, সেই সব পুরুষদের অধিক সময় ধরে উরুর উপর ল্যাপটপ রাখা উচিত নয়।এতে করে সন্তান প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
    • অত্যধিক কোল্ড ড্রিংস পান করলে এবং এলকোহল জাতীয় তরল পান করলে পুরুষের শুক্রানুমেয়েদের ডিম্বানু নষ্ট হয়ে যেতে পারে যা সন্তান ধারনের ক্ষমতা নষ্ট করে। গর্ভাবস্থায় এলকোহল সেবন সন্তানের জন্ম ত্রুটির জন্য দায়ী।
    • মাত্রাতিরিক্ত কফি পান করবেন না। কফিতে রয়েছে caffeine যা অতিরিক্ত সেবনের ফলে সন্তান প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।Gibbons এর মতে, প্রতি দিন ২০০ থেকে ২৫০মিলিগ্রাম caffeine অর্থাৎ ১-২ কাপ কফি খেতে পারেন, এর বেশি খাওয়া ঠিক হবে না।
    • আপনার সুক্রানু বা ডিম্বানুর স্থায়ীত্ব কাল ১২-২৪ ঘন্টা। মাসিকের সময় কাল ২৮ দিন হিসাব করে মাসিক সমাপ্ত হওয়ার পরবর্তী ১২-১৪ তম এই তিন দিন সন্তান গর্ভ ধারনের সঠিক সময়।

      এই সময়ে নিষেক ক্রিয়া হয়ে থাকে। 
    • সন্তান গর্ভে ধারণ কালে যে সব ঔষধ প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করে বা শ্রক্রানুডিম্বানুর ক্ষতি সাধন করে, সেগুলো পরিহার করুন।
    • ক্ষতিকর রাসায়নিক কেমিক্যাল যুক্ত খাবার খাবেন না। বর্তমানে বাজারে প্রাপ্ত অধিকাংশ ফল মূল ও অন্যান্য খাবার সামগ্রী কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো বা সংরক্ষন করা হয়। সে ক্ষেত্রে গাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ করুন। কেমিক্যাল মিশ্রিত খাবার আপনার গর্ভস্থ ভ্রুন নষ্ট করতে সক্ষম।
    • কিছু পরিক্ষায় দেখা গেছে সকালে সুক্রান বা ডিম্বানুর সংখ্যা বেশি থাকে। তাই এই সময়কে মিলিত হবার জন্য নির্ধারন করতে পারেন।
    • কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য পুষ্টি উপাদান  যে গুলো প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-বি, ফোলেট( ফোলিক নয়), জিংকসেলেনিয়াম। 
    • গর্ভ ধারনের লক্ষন প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে বেবি চেক করুন। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খান।
    • বেবি চেক করে যদি পজিটিভ রেজাল্ট না পান, ভেঙ্গে পড়বেন না।পরবর্তী মাসে আবার চেষ্টা করুণ। অনেক দম্পত্তিই প্রথম অবস্থায় ব্যর্থ হয়ে পরবর্তীতে সন্তন লাভে সক্ষম হয়েছে।
    • পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান করুন। এর ফলে আপনার দেহ সিক্ত থাকবে এবং ভ্রুন পর্যাপ্ত জলীয় পদার্থ পেয়ে দ্রুত বেড়ে উঠবে।
    • পর্যাপ্ত পরিমানে আমিষ জাতিয় খাবার যেমন মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, বাদাম খেতে হবে।এগুলো গর্ভকালীন জটিলতা থেকে রক্ষা করবে।
    • চর্বী জাতীয় খাবার যেমন নারকেল, নারকেলের তেল, জলপাইজলপাইয়ের তেল, মাখন, ঘি, বাদাম জাত খাবার খাবেন।
    • প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমাতে হবে। গবেষনায় দেখা গেছে যে সব নারিপুরুষের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তারা সন্তান ধারনে অক্ষম হয়ে পড়ে।
    • দুশ্চিন্তা, হতাশাচাপ মুক্ত থাকুন। সব সময় হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করুন।মনকে উৎফুল্ল রাখুন।