২৩ জুল, ২০১৬

Brain stroke treatment | ব্রেন স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ, কারণ, প্রাকৃতিক চিকিৎসা

সাড়া বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডেজন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ
বাধা গ্রস্থ হওয়ার ফলে স্ট্রোক হয়স্ট্রোক হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষ নষ্ট হয়ে রোগীর মৃত্যু বা পক্ষাঘাত(Paralysis) হতে পারে
স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ:হঠাদেহের কোন অংশের অবসতা, দুর্বলতা: মুখমন্ডল, বাহু, পা অথবা দেহের এক পাশের পক্ষাঘাত হওয়া।কথা বুঝতে না পারা, কথায় জড়তা সৃষ্টি হওয়া, ঝিমানি ভাব, দেহের ভারসাম্য হাড়ানো, চোখে অন্ধকার দেখা স্টোকের পূর্ব লক্ষণ। 
  তিন ধরনের স্ট্রক হয়ে থাকে:

 ১) Ischemic strokes

 ২) Hemorrhagic strokes

 ৩) (TIAs), Transient ischemic attacks বা mini-strokes
Ischemic strokes: ধরনের স্ট্রোক সাধারণত বেশি হতে দেখা যায় যা প্রায় ৮৫ %। মস্তিষ্কের রক্তনালী সরু হয়ে গিয়ে রক্ত চলাচল বাধা গ্রস্থ হলে এই ধরনের স্ট্রোক হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে চর্বী জাতীয় পদার্থ ধ্বমনী বা শিরার ভিতর পৃষ্ঠে পুরু প্রলেপ (plaque) সৃষ্টি করে

আবার বিভিন্ন কারনে জমাট ক্ষুদ্র রক্ত পিন্ড প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেফলে রক্তচলাচলের পথ সরু হয়ে যায়যে কারনে সংকীর্ণ পথ দিয়ে পর্যাপ্ত অক্সিজেন, পুষ্টি উপাদানরক্ত চলাচল করতে পারেনা এবং মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষের মুত্যু ঘটেব্রেন স্ট্রোক ঘটায়
Hemorrhagic strokes: মস্তিষ্কের কোন অংশে রক্ত ছড়িয়ে পড়ে জমাট বেধেঅংশকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়রক্ত কোষের প্রাচীর দুর্বল হয়ে ফেটে যায় এবং রক্ত মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের স্ট্রকের ক্ষেত্রে ৩০-৫০ ভাগ আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ঘটে


Transient ischemic attacks বা mini-strokes: ধরনের স্টোকে দেহের কিছু অংশে আংশিক ছোট ছোট লক্ষণ দেখা দেয় যা নিকট বর্তী সময়ে বড় ধরনের স্ট্রোকের পূর্বাভাস দেয়যেমন আংশিকসাময়িক অবশতা, ঝিমুনি, দুর্বলতা, কম্পন, স্নায়ুশূল ইত্যাদিএক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে বড় ধরনের স্ট্রোকের ঝুকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়
স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়:
স্ট্রোক প্রতিরোধের প্রধান উপায় হল স্বাস্থ্য সম্মত জীবন যাপন পদ্ধতি

অতিরিক্ত দৈহিক ওজন স্ট্রোকের অন্যতম কারণ।তাই আপনার ওজন কমানোর চেষ্টা করুন

বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে স্ট্রোকের ঝুকি বাড়ে।সাধারণত ৫৫ বছরে পর থেকে স্ট্রোক হওয়ার প্রবনতা বৃদ্ধি পায়

দুশ্চিন্তা (Hypertension) ও  চাপ রক্তচাপ বৃদ্ধি করেস্ট্রোকের ঝুকি বাড়ায়কর্মক্ষেত্র বা পারিবারিক যে কোন বিষয়ে  দুশ্চিন্তা , চাপ, হতাশা ঝেড়ে ফেলুন

ধুমপানের অভ্যাস স্ট্রোকের অন্যতম কারণ

কোলেস্টরল যুক্ত খাবার গ্রহণ

উচ্চ রক্তচাপ (১৪০/৯০) স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ।তাই রক্তচাপ  ১২০/৮০ এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন

নিয়মিত দৈহিক ব্যয়াম করুন, হাটুন

তবে অত্যধিক ব্যয়াম করবেন না
কি খাবেন:

প্রতি দিন রসুন খাওয়ার চেষ্টা করুন

মাংসের পরিবর্তে নিয়মিত মাছ খেতে হবে

রাতের খাবার খেয়ে সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়া স্ট্রোকের ঝুকি বৃদ্ধি করে।তাই কিছুক্ষণ হাটুন

লেবু জাতীয় খাবার কমলা , কাগজী লেবু , জাম্বুরা ইত্যাদি নিয়মিত খেতে হবে

হলুদ রক্তের কোলেস্টরল কমায়

গাজর স্ট্রোক প্রতিরোধে সহায়তা করে

শাক শবজিফল মূল বেশি করে খেতে হবে

আদা কোলেস্টরল কমায় এবং রক্ত প্রবাহ চক্র সংঘটনে সহায়তা করে।এছাড়াও আদা কার্ডিয়াক টনিক হিসেবে পরিচিত

নারকেলের তেলে রয়েছে ফ্যাটি এসিড যা খাদ্য পুষ্টি উপাদান গ্রহনে সহায়তা করেমস্তিষ্কের ক্রিয়া ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

ফলিক এসিড, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ই, ভিটামিন  সি স্ট্রোকের ঝুকি কমায়

সব ধরনের ভিটামিন স্ট্রোক প্রতিহত করে

গ্রিন টি স্ট্রোক প্রতিরোধে সক্ষম

আনারসে রয়েছে Bromelain নামক উপাদান যা প্রোটিনকে ভেঙ্গে ফেলেBromelain রক্তে কোন পদার্থকে জমাট হতে দেয়না যা স্ট্রোক প্রতিহত করে

মাছের তেলে ওমেগা-৩ উপাদান রয়েছে যা স্ট্রোকের ঝুকি কমায়
 
কি খাবেন না:

চর্বি জাতীয় খাবার যেমন মাংস, ঘি, মাখন, দুধ ইত্যাদি কম খেতে হবে

চিনি জাতীয় খাবার কম খাবেন

এলকোহল জাতীয় খাবার রক্তের চাপ বৃদ্ধি করে।তাই এগুলো পরিহার করুন

NSAIDs (non-steroidal anti-inflammatory drugs) জাতীয় ঔষধের ব্যবহার কমান

খাসির মাংস, গরুর চর্বী যুক্ত মাংস খাবেন না
   

১৬ জুল, ২০১৬

রসুনের অজানা ঔষধি গুণ | Benefits of Garlic

রসুনের অজানা ঔষধি গুণ: রন্ধন কাজে ব্যবহৃত এই অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সম্ববত সৃষ্টিকর্তা এর উপকারি গুন সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশেই মানুষের একেবারে হাতের নাগালে রসুনে অবস্থান নির্ধারণ করেছেন। রসুন একাধারে হৃদরোগ, মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণ(brain stroke), কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস, গ্যাসট্রিক, ক্যানসার ইত্যাদি বহু জটিল রোগের প্রতিষেধক হিসেবে দুর্দান্ত কাজ করে।

চুল পরা রোধ:

রসুনে রয়েছে সালফার সমৃদ্ধ allicinসেলেনিয়াম উপাদান যা চুল পরা বন্ধ করে।চুলের গোড়া শক্ত করেচুল ঘন,



কাল করেনারকেল তেলের সাথে রসুনের রস মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও রসুনে রয়েছে এন্টিবায়োটিক উপাদান যা মাথার চামড়ায় জীবানু সংক্রকণ প্রতিহত করে। উকুন ও অন্যান্য ক্ষতিকর জীবানু ধ্বংস করে।
ক্যানসার প্রতিরোধ: 
রসুন ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হয় ফুসফুস ক্যানসার, মুখের ক্যানসার, স্তন ক্যানসার, পাকস্থলীর ক্যানসার, ক্ষুদ্রান্ত্রের ক্যানসারকোলন ক্যানসার নিরাময়ের জন্য
অ্যালঝেইমারমস্তিষ্ক বিকার রোগ:
রসুন মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষের নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।এতে রয়েছে এন্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান যা অ্যাল ঝেইমারমস্তিষ্ক বিকার রোগ প্রতিহত করেতাই বার্ধক্য জনিত রোগে রসুনের ব্যপক ব্যবহার লক্ষ করা যায়
      ব্রন ভাল করে:রসুনের এন্টি-অক্সিডেন্টাল উপাদান মুখের ব্রন সৃষ্টি কারি  
         ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।ফলে  ব্রনে ইনফেকশন হতে পারেনা
      ঠান্ডা জনিত রোগ প্রতিরোধ: 
         রসুন ঠান্ডাজনিত রোগ সাড়ায়এক পরিক্ষায় দেখা 
         গেছে রসুন ৬৩% ঠান্ডা সমস্যা দূর করে।যদি আপনার  
         ঠান্ডা  লাগে এবং সর্দি, কাশিতে ভোগেন, তবে খাদ্য তালিকায় রসুন যুক্ত করুণ। 
         রয়েছে ৬% সেলেনিয়াম যা যৌন রোগের প্রতিষেধক রুপে 
         কাজ   করেসেলেনিয়াম নামে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় যৌন রোগ আরোগ্য কারি ঔষধ রয়েছে
     খোশ-পাচরা আরোগ্য: রসুনে রয়েছে ১৫% ভিটামিন সি যা ভিটামিন সি এর অভাব জনিত রোগ প্রতিরোধ করে।রসুনের এন্টিসেপ্টিক উপাদান খোশ-পাচরা, চুলকানি আরোগ্যে অত্যন্ত কার্যকর।রসুন দেহের  বিষাক্ত ধাতব পদার্থ বের করে দেয় 
     হাড় ক্ষয় রোধ: রসুনে ফসফরাসক্যালসিয়াম  
         রয়েছে যা হাড়ের গঠনে সহায়তা করেহাড় ক্ষয় 
         প্রতিহত করেমেয়েদের দেহের এস্ট্রজেন বৃদ্ধি করে যা হাড় ক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।রসুন অষ্ট্রো আর্থ্রাইটিস রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে

      উচ্চ রক্তচাপ,হৃদরোগব্রেন ষ্ট্রোক প্রতিরোধ: মানুষের অকাল মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হার্টএ্র্যাটাক বা হৃদরোগ যা উচ্চ রক্তচাপের কারণে হয়।রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমায়উচ্চ রক্তচাপের কারণে ব্রেন ষ্ট্রোক হয়তাই ষ্ট্রক জনিত মৃত্যু প্রতিহত করতে প্রতিদিন রসুন খাওয়া ভাল

    রসুন রক্তের কোলেস্টেরল হ্রাস করে যা হৃদরোগের ঝু্ঁকি কমায়
রসুনের আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকার: 
Ø রসুন স্বাসকষ্টে ব্যবহৃত হয়ফুসফুস প্রদাহে রসুনের ব্যপক ব্যবহার রয়েছে

Ø যক্ষা রোগ নিরাময়ে রসুন ব্যবহৃত হয়

Ø রসুন ডায়াবেটিস রোগের অন্যতম প্রধান ঔষধ

Ø আমাশয় রোগ নিরাময়েও রসুন অত্যন্ত কার্যকর

Ø ওজন নিয়ন্ত্রন করে

Ø দেহের চর্বি কমায়

Ø মশার কামড় প্রতিরোধ করে

Ø পায়ের ইনফেকশন ভালো করে

Ø রসুনের পানির স্প্রে গাছকে পোকামাকড়ের আক্রমন থেকে রক্ষাকরে
রসুনের ঘ্রান মাছকে আকৃষ্ট করে