সাড়া বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১ জন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়। মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ
বাধা গ্রস্থ হওয়ার ফলে স্ট্রোক হয়। স্ট্রোক হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষ নষ্ট হয়ে রোগীর মৃত্যু বা পক্ষাঘাত(Paralysis) হতে পারে।
স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ:হঠাৎ দেহের কোন অংশের অবসতা, দুর্বলতা: মুখমন্ডল, বাহু, পা অথবা দেহের এক পাশের পক্ষাঘাত হওয়া।কথা বুঝতে না পারা, কথায় জড়তা সৃষ্টি হওয়া, ঝিমানি ভাব, দেহের ভারসাম্য হাড়ানো, চোখে অন্ধকার দেখা স্টোকের পূর্ব লক্ষণ।
আবার বিভিন্ন কারনে জমাট ক্ষুদ্র রক্ত পিন্ড প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ফলে রক্তচলাচলের পথ সরু হয়ে যায়। যে কারনে সংকীর্ণ পথ দিয়ে পর্যাপ্ত অক্সিজেন, পুষ্টি উপাদান ও রক্ত চলাচল করতে পারেনা এবং মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষের মুত্যু ঘটে ও ব্রেন স্ট্রোক ঘটায়।
Hemorrhagic strokes: মস্তিষ্কের কোন অংশে রক্ত ছড়িয়ে পড়ে জমাট বেধে ঐ অংশকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। রক্ত কোষের প্রাচীর দুর্বল হয়ে ফেটে যায় এবং রক্ত মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের স্ট্রকের ক্ষেত্রে ৩০-৫০ ভাগ আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ঘটে।
Transient ischemic attacks বা mini-strokes: এ ধরনের স্টোকে দেহের কিছু অংশে আংশিক ছোট ছোট লক্ষণ দেখা দেয় যা নিকট বর্তী সময়ে বড় ধরনের স্ট্রোকের পূর্বাভাস দেয়। যেমন আংশিক ও সাময়িক অবশতা, ঝিমুনি, দুর্বলতা, কম্পন, স্নায়ুশূল ইত্যাদি। এক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে বড় ধরনের স্ট্রোকের ঝুকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়:
কি খাবেন:
কি খাবেন না:
বাধা গ্রস্থ হওয়ার ফলে স্ট্রোক হয়। স্ট্রোক হলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষ নষ্ট হয়ে রোগীর মৃত্যু বা পক্ষাঘাত(Paralysis) হতে পারে।
স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ:হঠাৎ দেহের কোন অংশের অবসতা, দুর্বলতা: মুখমন্ডল, বাহু, পা অথবা দেহের এক পাশের পক্ষাঘাত হওয়া।কথা বুঝতে না পারা, কথায় জড়তা সৃষ্টি হওয়া, ঝিমানি ভাব, দেহের ভারসাম্য হাড়ানো, চোখে অন্ধকার দেখা স্টোকের পূর্ব লক্ষণ।
তিন ধরনের স্ট্রক হয়ে থাকে:
১)
Ischemic strokes
২) Hemorrhagic strokes
৩) (TIAs), Transient ischemic attacks বা
mini-strokes
Ischemic strokes: এ ধরনের স্ট্রোক সাধারণত বেশি হতে দেখা যায় যা প্রায় ৮৫ %। মস্তিষ্কের রক্তনালী সরু হয়ে গিয়ে রক্ত চলাচল বাধা গ্রস্থ হলে এই ধরনের স্ট্রোক হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে চর্বী জাতীয় পদার্থ ধ্বমনী বা শিরার ভিতর পৃষ্ঠে পুরু প্রলেপ (plaque) সৃষ্টি করে।আবার বিভিন্ন কারনে জমাট ক্ষুদ্র রক্ত পিন্ড প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ফলে রক্তচলাচলের পথ সরু হয়ে যায়। যে কারনে সংকীর্ণ পথ দিয়ে পর্যাপ্ত অক্সিজেন, পুষ্টি উপাদান ও রক্ত চলাচল করতে পারেনা এবং মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষের মুত্যু ঘটে ও ব্রেন স্ট্রোক ঘটায়।
Hemorrhagic strokes: মস্তিষ্কের কোন অংশে রক্ত ছড়িয়ে পড়ে জমাট বেধে ঐ অংশকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। রক্ত কোষের প্রাচীর দুর্বল হয়ে ফেটে যায় এবং রক্ত মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরনের স্ট্রকের ক্ষেত্রে ৩০-৫০ ভাগ আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু ঘটে।
Transient ischemic attacks বা mini-strokes: এ ধরনের স্টোকে দেহের কিছু অংশে আংশিক ছোট ছোট লক্ষণ দেখা দেয় যা নিকট বর্তী সময়ে বড় ধরনের স্ট্রোকের পূর্বাভাস দেয়। যেমন আংশিক ও সাময়িক অবশতা, ঝিমুনি, দুর্বলতা, কম্পন, স্নায়ুশূল ইত্যাদি। এক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নিলে বড় ধরনের স্ট্রোকের ঝুকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়:
•স্ট্রোক প্রতিরোধের প্রধান উপায় হল স্বাস্থ্য সম্মত জীবন যাপন পদ্ধতি।
•অতিরিক্ত দৈহিক ওজন স্ট্রোকের অন্যতম কারণ।তাই আপনার ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
•বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে স্ট্রোকের ঝুকি বাড়ে।সাধারণত ৫৫ বছরে পর থেকে স্ট্রোক হওয়ার প্রবনতা বৃদ্ধি পায়।
•দুশ্চিন্তা (Hypertension) ও চাপ রক্তচাপ বৃদ্ধি করে ও স্ট্রোকের ঝুকি বাড়ায়। কর্মক্ষেত্র বা পারিবারিক যে কোন বিষয়ে দুশ্চিন্তা , চাপ, হতাশা ঝেড়ে ফেলুন।
•ধুমপানের অভ্যাস স্ট্রোকের অন্যতম কারণ।
•কোলেস্টরল যুক্ত খাবার গ্রহণ।
•উচ্চ রক্তচাপ
(১৪০/৯০) স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ।তাই রক্তচাপ ১২০/৮০ এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন।
•নিয়মিত দৈহিক ব্যয়াম করুন, হাটুন।
•তবে অত্যধিক ব্যয়াম করবেন না।
•প্রতি দিন রসুন খাওয়ার চেষ্টা করুন।
•মাংসের পরিবর্তে নিয়মিত মাছ খেতে হবে।
•রাতের খাবার খেয়ে সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়া স্ট্রোকের ঝুকি বৃদ্ধি করে।তাই কিছুক্ষণ হাটুন।
•লেবু জাতীয় খাবার কমলা , কাগজী লেবু , জাম্বুরা ইত্যাদি নিয়মিত খেতে হবে।
•হলুদ রক্তের কোলেস্টরল কমায়।
•গাজর স্ট্রোক প্রতিরোধে সহায়তা করে।
•শাক শবজি ও ফল মূল বেশি করে খেতে হবে।
•আদা কোলেস্টরল কমায় এবং রক্ত প্রবাহ চক্র সংঘটনে সহায়তা করে।এছাড়াও আদা কার্ডিয়াক টনিক হিসেবে পরিচিত।
•নারকেলের তেলে রয়েছে ফ্যাটি এসিড যা খাদ্য পুষ্টি উপাদান গ্রহনে সহায়তা করে ও মস্তিষ্কের ক্রিয়া ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
•ফলিক এসিড, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি স্ট্রোকের ঝুকি কমায়।
•সব ধরনের ভিটামিন স্ট্রোক প্রতিহত করে।
•গ্রিন টি স্ট্রোক প্রতিরোধে সক্ষম।
•আনারসে রয়েছে Bromelain নামক উপাদান যা প্রোটিনকে ভেঙ্গে ফেলে। Bromelain রক্তে কোন পদার্থকে জমাট হতে দেয়না যা স্ট্রোক প্রতিহত করে।
•মাছের তেলে ওমেগা-৩ উপাদান রয়েছে যা স্ট্রোকের ঝুকি কমায়।
কি খাবেন না:
•চর্বি জাতীয় খাবার যেমন মাংস, ঘি, মাখন, দুধ ইত্যাদি কম খেতে হবে।
•চিনি জাতীয় খাবার কম খাবেন।
•এলকোহল জাতীয় খাবার রক্তের চাপ বৃদ্ধি করে।তাই এগুলো পরিহার করুন।
•NSAIDs (non-steroidal anti-inflammatory drugs) জাতীয় ঔষধের ব্যবহার কমান।
•খাসির মাংস, গরুর চর্বী যুক্ত মাংস খাবেন না।